বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্টের কাজ কী?
উত্তরঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যোগ্য, দক্ষ, ও প্রশিক্ষিত জনবল তৈরির উদ্দেশ্যে দেশে ও বিদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উচ্চতর পর্যায়ে অধ্যয়ন ও গবেষণার জন্য ফেলোশিপ প্রদান।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্টের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী?
উত্তরঃ ভিশনঃ উন্নত ও সমৃদ্ধ বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠন।
মিশনঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যোগ্য, দক্ষ, ও প্রশিক্ষিত জনবল তৈরির উদ্দেশ্যে দেশে ও বিদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উচ্চতর পর্যায়ে অধ্যয়ন ও গবেষণার জন্য ফেলোশিপ প্রদান।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট কোন মন্ত্রানালয়ের অধীন?
উত্তরঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
ফেলোশিপ কাদের দেয়া হয়?
উত্তরঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষায়িত যোগ্যতাসম্পন্ন প্রযুক্তিবিদ ও গবেষক তৈরীর লক্ষ্যে দেশে-বিদেশে খ্যাতনামা শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে এমএস, ডক্টরাল ও পোস্ট-ডক্টরাল পর্যায়ে অধ্যয়নের জন্য ফেলোশিপ প্রদান করে।
কখন ফেলোশিপ প্রাপ্তির জন্য আবেদন গ্রহণ করা হয়?
উত্তরঃ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে।
কোন বিষয়ের উপর ফেলোশিপ প্রদান করা হয়?
উত্তরঃ পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান, গণিত ও পরিসংখ্যান, জীব বিজ্ঞান, চিকিৎসা বিজ্ঞান, পাবলিক হেলথ ও প্রিভেনটিভ মেডিসিন, জীব প্রযুক্তি ও অনুজীব বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়রিং ও স্থাপত্য বিদ্যা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, কম্পিউটার সাইন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান, কৃষি বিজ্ঞান, খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান, সমুদ্র বিজ্ঞান, অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মৎস্য বিজ্ঞান, পশু চিকিৎসা ও পশু পালন, কনভেনশনাল ও নন-কনভেনশনাল এনার্জি, জ্বালানি গবেষণা, নিউক্লিয়ার পাওয়ার, নিউক্লিয়ার টেকনোলজি, পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, আরবান ও রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট প্লানিং, এক্সপ্লোরেশন অব মিনারেলস এন্ড পোট্রোলজি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ের বাইরে ফেলো গ্রহনের সুযোগ আছে কিনা?
উত্তরঃ না।
কিভাবে নতুন ফেলো নির্বাচন করা হয়?
উত্তরঃ ট্রাস্টি বোর্ড প্রণীত এওয়ার্ড কমিটি দ্বারা গবেষক/ফেলো বাছাই করা হয়।
আবেদনের কত সময় পরে ফেলোশিপ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়?
উত্তরঃ ন্যূনতম ২ মাস।
ট্রাস্ট ফেলোদেরকে কিরূপ আর্থিক অনুদান প্রদান করে?
উত্তরঃ এমএস/এমফিল/সমমান, ডক্টরাল এবং পোস্ট ডক্টরাল শ্রেণির ফেলোগণের নিম্নবর্ণিত হারে মাসিক ও এককালীন ভাতা প্রদান করা হয়ঃ
(ক) লিভিং এলাউন্স (মাসিক): পিএইচডি দেশে মাসিক ৪৫,০০০/-টাকা, পিএইচডি উত্তর দেশে মাসিক ৪৫,০০০/- টাকা, এমএস/পিএইচডি বিদেশে (অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ইউরোপের দেশ সমূহ) মাসিক ১,২০,০০০/- টাকা এবং এমএস/পিএইচডি অন্যান্য দেশে ৬৫,০০০/- হারে ।
(খ) টিউশন ফি: বিশ্ববিদ্যালয়/ইন্সটিটিউট নির্ধারিত রেটে প্রকৃত টিউশন ফি;
(গ) বইপুস্তক ক্রয় (এককালীন): বইপুস্তক ক্রয় বাবদ বিদেশে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে ৬০,০০০ টাকা এবং দেশে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে ৩০,০০০ টাকা;
(ঘ) থিসিস ফি (এককালীন): বিদেশে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে থিসিস ফি বাবদ ৫০,০০০ টাকা এবং দেশে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে ২৫,০০০ টাকা;
(ঙ) বিমান ভাড়া, স্বাস্থ্য বীমা ও ভিসা ফি: বিদেশে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে ফেলোগণের জন্য প্রকৃত বিমান ভাড়া, স্বাস্থ্য বীমা ও ভিসা ফি;
(চ) বিদেশে ডক্টরাল ফেলোশিপের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৪ (চার) বছর হওয়ায় ২ (দুই) বছর সফল সমাস্তির পর আরও একবার আসা যাওয়ার বিমান ভাড়া;
(ছ) সেমিনার আয়োজন ও থিসিস পেপার উপস্থাপনের জন্য এককালীন বিদেশে ৭৫,০০০ টাকা এবং দেশে ৩০,০০০ টাকা।
কী কী মেয়াদে ফেলোশিপ প্রদান করা হয়?
উত্তরঃ দেশে অধ্যয়নের জন্য ডক্টরাল ও পোস্ট ডক্টরাল শ্রেণির ফেলো নির্বাচন করা হয়। বিদেশে অধ্যয়নের জন্য এমএস/এমফিল/সমমান এবং ডক্টরাল শ্রেণির ফেলো নির্বাচন করা হয়। কোর্সের মেয়াদ অনুযায়ী মেয়াদ নির্ধারিত হয়।
একাধিক বার ফেলোশিপ গ্রহনের সুযোগ আছে কিনা?
উত্তরঃ না।
খন্ডকালীন শিক্ষার্থী বা গবেষক হিসেবে ফেলোশিপ গ্রহনের সুযোগ আছে কিনা?
উত্তরঃ আবেদনকারীকে একজন সার্বক্ষণিক তথা পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী বা গবেষক হওয়া বাধ্যতামূলক।
ফেলোদের গবেষণা কার্যক্রম কিভাবে মনিটরিং করা হয়?
উত্তরঃ ট্রাস্ট কতৃক গঠিত মনিটরিং টীম দেশে-বিদেশে অধ্যয়নরত ফেলোগণের অধ্যয়ন কার্যক্রম মনিটরিং করবে।
অধ্যয়ন চলাকালীন সময়ে ট্রাস্টে গবেষণার অগ্রগতি বিষয়ক কোন প্রতিবেদন দাখিল করা লাগে কিনা?
উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়কের মাধ্যমে প্রতি ৬ মাস অন্তর গবেষণার অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতিবেদন ট্রাস্টে প্রেরণ এবং প্রয়োজনবোধে উপস্থাপন করতে হবে।
ফেলোশিপ সংক্রান্ত কোন আইন আছে কিনা? থাকলে তা কোথায় পাবো?
উত্তরঃ আছে, ওয়েবসাইটের আইন/অধ্যাদেশ, বিধিমালা ও নীতিমালা অংশে এসংক্রান্ত সকল তথ্য পাবেন।
যেসব ফেলোগণ ফান্ড গ্রহণ সত্তেও তাদের কোর্স সম্পন্ন করতে পারেন না তাদের ক্ষেত্রে ট্রাস্ট কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে?
উত্তরঃ ট্রাস্টি বোর্ডের সিদ্ধান্ত দ্বারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গৃহীত হয়।
ট্রাস্ট সংক্রান্ত যেকোন তথ্য জানতে কিভাবে যোগাযোগ করবো?
উত্তরঃ ওয়েবসাইটে দেয়া ফোন নম্বর ও ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।
নির্বাচিত ফেলো দেশ, বিশ্ববিদ্যালয় অথবা কোর্স পরিবর্তন করতে পারবে কিনা?
উত্তরঃ দেশ পরিবর্তন করতে পারবেন না। ট্রাস্টের যথাযথ শর্তাবলী পূরণপূর্বক কতৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় বা কোর্স পরিবর্তন করা যেতে পারে।
ফেলোগণ কিভাবে আর্থিক অনুদান গ্রহণ করবেন?
উত্তরঃ নির্ধারিত ব্যাংকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ফেলোর ব্যাংক একাউন্টে আর্থিক অনুদান প্রেরণ করা হয়।
গবেষণা কার্যক্রম সমাপ্তি শেষে ফেলোগণের করণীয় কী?
উত্তরঃ গবেষণা সমাপ্তির চূড়ান্ত প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় তথ্যাদিসহ সশরীরে ট্রাস্টের সামনে উপস্থাপন।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ট্রাস্টের নাম উল্লেখ থাকা বাধ্যতামূলক কিনা?
উত্তরঃ চূড়ান্ত প্রতিবেদনের প্রাপ্তিস্বীকার (Acknowledgements) অংশে ট্রাস্টের নাম থাকা বাধ্যতামূলক।
প্রথমবার ফেলোশিপের অনুদান গ্রহনের সময় সশরীরে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক কিনা?
উত্তরঃ সশরীরে উপস্থিতি আবশ্যক।
কোর্স সমাপ্তি শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমাদানের সময় সশরীরে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক কিনা?
উত্তরঃ সশরীরে উপস্থিতি আবশ্যক।
কোর্স শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমাদান করার জন্য কতদিন সময় দেওয়া হয়?
উত্তরঃ অনধিক ৩ মাস।
পরবর্তী ফেলোশিপের আবেদন কবে প্রকাশিত হবে?
উত্তরঃ আবেদনের নোটিশ পেতে ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।
ট্রাস্ট অফিসের ঠিকানা কী?
উত্তরঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট
ফোনঃ +৮৮-০২৪১০২৫৮৫৫
ই-মেইলঃ info@bstft.gov.bd
১১তম তলা, জাতীয় বিজ্ঞান প্রযুক্তি কমপ্লেক্স (এনএসটিএসসি) আগারগাঁও, শের-ই-বাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭